সর্বশেষ

» দুর্দিনের সাহসী নেত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা

প্রকাশিত: ২৯. জুলাই. ২০২৫ | মঙ্গলবার

বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের রাজনীতিতে বিএনপির যে জৌলুস এখনও দৃশ্যমান, তার পেছনে একজন নিবেদিতপ্রাণ নেত্রীর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি হলেন এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর রাজনীতির পথ যে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তা জানা সত্ত্বেও, তিনি পিছপা হননি। বরং কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন—বিএনপি কেবল একজন নেতা নয়, একটি আদর্শের নাম।

তাহসিনা রুশদীর লুনা শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি একজন প্রতীক—ত্যাগ, সাহস ও দৃঢ়চেতার প্রতীক। ইলিয়াস আলীর অনুপস্থিতিতে যখন অনেকেই দিশেহারা, তখন তিনি বুক চিতিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, সংগঠন ধরে রেখেছেন। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের প্রতিটি ইউনিটে তাঁর স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে। জনসংযোগ, সাংগঠনিক তৎপরতা এবং মানবিক সহানুভূতির মধ্য দিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

দলের দুঃসময়ে লুনার ভূমিকাই প্রমাণ করে, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলা নয়, এটি মানুষের পাশে থাকার, মানুষের কথা বলার এবং ন্যায়ের জন্য লড়ার এক মহান মাধ্যম। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সংযোগই বিএনপিকে এলাকায় প্রাসঙ্গিক ও শক্তিশালী করে রেখেছে।

তাহসিনা রুশদীর লুনা আজ শুধুমাত্র ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, নিজ গুণে, নিজ নেতৃত্বগুণে এবং সাহসী অবস্থানের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর বিএনপির প্রেরণার বাতিঘর।

লেখক: আব্দুল কাইয়ুম
সদস্য – বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদল।