সর্বশেষ

» বড়লেখার রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রভাষক ফখরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ৩১. জুলাই. ২০২৫ | বৃহস্পতিবার

বড়লেখা প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে সুপরিচিত ও পরীক্ষিত এক নাম—সাবেক পৌর মেয়র ও প্রভাষক ফখরুল ইসলাম। তিন দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় থেকে রাজনীতিকে তিনি করেছেন জীবনঘনিষ্ঠ। ছাত্রজীবনেই যার সূচনা হয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর মাধ্যমে।

১৯৮৬ সালে বড়লেখার পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৮৭ সালে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে তার সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে একে একে প্রতিটি স্তরে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সিলেটের এমসি কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্বে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

প্রভাষক ফখরুল ইসলাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রিধারী একজন শিক্ষিত রাজনীতিক। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত রফিকুল ইসলাম সুন্দর ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী খিজির আহমদকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।
সেই সময় রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও তাঁর জয় ছিল দলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। এরপর থেকে বড়লেখা পৌরবাসীর কাছে একজন জনপ্রিয়, নির্ভরযোগ্য ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন তিনি।

তার রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:বড়লেখা উপজেলা যুবদলের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক,মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি (২০১৭ ইং)মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক,সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক,দলের দুর্দিনে, আন্দোলন-সংগ্রামে বারবার মাঠে ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রেখেছেন দৃপ্ত পদচারণা। মিছিল-মিটিং, সংগঠনের পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তার দায়িত্বশীল উপস্থিতি প্রশংসিত।

তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, সংগঠনের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ছাত্রদল ও যুবদলের শক্তিশালী কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করেছেন।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা যেমন দৃশ্যমান, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) আসনে বিএনপি যদি প্রভাষক ফখরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়, তবে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। কারণ তিনি অতীতে প্রমাণ করেছেন—প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনেও কৌশল, জনপ্রিয়তা ও সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব।

এই বিষয়ে প্রভাষক ফখরুল ইসলাম বলেন, “জনগণের ভালোবাসা ও নেতাকর্মীদের দাবির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগেও আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কাজ করেছি। নির্বাচন পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলের বিজয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমি প্রস্তুত আছি দলের হয়ে মাঠে নামতে।”