সর্বশেষ

» শান্তিগঞ্জের ৮ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন

প্রকাশিত: ০১. আগস্ট. ২০২৫ | শুক্রবার

সিলেট বিএম ডেস্ক ::: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা বিএনপি।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জালাল উদ্দিন ও প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক রওশন খান সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে বিএনপির দলীয় প্যাডে এসব কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ৮ কমিটির স্বাক্ষরিত অনুমোদপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজ আইডি থেকে পোস্ট করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক রওশন খান সাগর। এর কিছুক্ষণ পর আহ্বায়ক হাজি জালাল উদ্দিনও তাঁর আইডি থেকে এসব কমিটি পোস্ট করেছেন।

অনুমোদিত প্রতি কমিটিতে আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক (দু’জনই স্বাক্ষর ক্ষমতা সম্পন্ন) সহ ১১ জন করে ৮ কমিটিতে মোট ৮৮ জন নেতা স্থান পেয়েছেন।

জয়জলস ইউনিয়নের আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ইলিয়াছ মিয়া। যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন হোসাইন আহমদ। সদস্যরা হলেন প্রাক্তন ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, আবুল লেইছ, এমদাদুল হক, গুলজার আহমেদ, জসীম উদ্দিন, আকরামুল হক, দেলোয়ার হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে আহ্বায়ক হয়েছেন এবাদুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক হয়েছেন নূর উদ্দিন। সদস্যরা হলেন সামছুল ইসলাম, আবুল মিয়া, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, আফরুজ আলী, এমদাদুর রহমান, রুকন উদ্দিন, আবুল খয়ের, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সুমন ও কাজি আবদুল ওয়াদুদ।

পূর্ব বীরগাঁওয়ে আহ্বায়ক তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইকুল ইসলাম। মঈনুল হোসেন, মহিবুর রহমান মবু,‍ সিপাউর রহমান, ছাব্বির আহমদ, রাহুজ্জামান, প্রাক্তন ইউপি সদস্য মাহবুব খান, দুলেন মিয়া, শিরুল আহমেদ চৌধুরী ও আবু ছায়েদ সদস্য পদ পেয়েছেন।

পাথারিয়ায় আহ্বায়ক সিরাজুল আলম, যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রাক্তন ইউপি সদস্য আক্কাস মিয়া। সদস্য হয়েছেন হারুনুর রশিদ, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মতিন, ময়না মিয়া, আরিফ রেজা আলেক, আঙ্গুর মিয়া, আতিকুর রহমান, ফয়জুল ইসলাম ও শাহ আলম।

পশ্চিম বীরগাঁওয়ে আহ্বায়ক হয়েছেন হাবিব উল্লাহ জায়গীরদার, যুগ্ম-আহ্বায়ক মতিউর রহমান জায়গীরদার। সদস্যরা হলেন আশিক মিয়া, আকিবুল মিয়া, তোফায়েল আহমদ, আরজান খাঁন, চন্দন মিয়া, জসীম উদ্দিন, পালিশ মিয়া, সুজাত মিয়া ও ছোয়াব আলী।

পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আহ্বায়ক আওলাদ হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্যামল হোসেন। তফজ্জুল হোসেন, প্রাক্তন ইউপি সদস্য সামছুল হক, সাফিক মিয়া, সহিবুর রহমান, সামছুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রাহিম নূর, মুজিবুর রহমান ও আলতা হোসেন বিএনপির সদস্য পদ পেয়েছেন।

দরগাপাশায় আবদুল হান্নান ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য মুকিত মিয়াকে যথাক্রমে আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে। মজনু মিয়া, হুছবান আহমদ চৌধুরী বাহার, প্রাক্তন ইউপি সদস্য ছালেক আহমদ, ফয়জুল করিম, দিলদার চৌধুরী, শিহাব উদ্দিন স্বপন, সেলিম আহমদ, জুনেদ আহমদ ও আবুল খয়ের পেয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদ।

শিমুলবাঁক ইউনিয়নে মিজানুর রহমাকে আহ্বায়ক ও আরজু মিয়াকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদস্য হয়েছেন ফয়জুর রহমান মাস্টার, আবুল লেইছ, নিজাম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মাও. আইন উদ্দিন, মানিক মিয়া, ফয়জুর রহমান, রেজাউল করিম রেজু ও শহীদ আলম।

এদিকে, কমিটি প্রকাশের পর থেকেই ফেসবুকে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আড়ালে থেকে কেউ কেউ ক্ষোভও ঝাড়ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূলের এক কর্মী বলেছেন, একজনের নাম এসেছে যিনি আমার বাড়ির পাশের বাড়ির। ৫ আগস্টের আগে তাকে কখনোই বিএনপির কর্মকাণ্ডে দেখিনি। জাতীয় পার্টির সমর্থক ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির ইউনিয়ন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। ইউনিয়নের কমিটি দেখে স্থানীয় বিএনপির প্রতি ভালোবাসাটা কমে গেল।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে দরগাপাশা ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছালিক আহমদ ও যুবদল নেতা শ্যামল চৌধুরী। পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাব্বির আহমদ, সাপ্তাব মিয়াও উপজেলার সকল কমিটিসহ নিজ ইউনিয়ন কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

শান্তিগঞ্জ উপহেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জালাল উদ্দিন ও প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক রওশন খান সাগর বলেন, কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মেনে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি প্রতিটি ইউনিয়নে সুন্দর একটি করে কমিটি দেওয়ার। আমরা সকল ইউনিয়নে কর্মী সভা করেছি। জাতীয়তাবাদের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরের কাছ থেকে মতামত নিয়েছি। যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে মামলা-হামলার শিকার হয়েছিরেন, কারাবরণ করেছিলেন, মামলা খেয়ে দিনের পর দিন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাহিরে দিনরাত কাটাতে হয়েছিলো তাদেরকে মূল্যায়ণ করার চেষ্টা করেছি। কোনো দোসরা যেনো কমিটিতে স্থান না পায় সেদিকে সতর্ক ছিলাম। কারো মনে কষ্ট থাকলে তাদের প্রতি অনুরোধ, আসুন সব কষ্ট ভুলে জিয়ার আদর্শে রাজনীতি করে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে কাজ করি।

উল্লেখ্য, অনুমোদিত এই কমিটিকে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব ওয়ার্ড কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন হবে উপজেলা কমিটির সুপার ফাইভ। যারা পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন। এসব কমিটিতে যে ৮ নেতা আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন তারা কেউই ইউনিয়ন কমিটি গঠনের সম্মেলনে প্রার্থী হতে পারবেন না।