সর্বশেষ

» ইসরায়েলে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল কানাডা

প্রকাশিত: ০৩. আগস্ট. ২০২৫ | রবিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: অবরুদ্ধ গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যা বন্ধে অস্ত্র ব্যবহার ঠেকাতে দখলদার ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

স্থানীয় সময় শনিবার (২ আগস্ট) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে রোববার এক প্রতিবেদন করেছে তুর্কিভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ওই বিবৃতিতে আনিতা আনন্দ বলেন, ‘গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স ইসরায়েলের জন্য আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা স্থগিতই রয়েছে। নতুন করে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’

কানাডা থেকে ইসরায়েলে এখনও অস্ত্র যাচ্ছে- এমন একটি প্রতিবেদন গত ২৯ জুলাই প্রকাশিত হয়। এর প্রতিবাদ জানাতেই আনিতা নতুন করে বিবৃতিটি জারি করলেন।

এ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনের বেশ কিছু দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে যে বিষয়ে বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যদি কেউ এমন কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা হলেও সেটির জন্য লাইসেন্স লাগবে— আর সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।’

তিনি আরও নিশ্চিত করেন, ‘লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগ থেকেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি— সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও ভাবেই নয়।’

আনন্দ জানান, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বৈধ লাইসেন্স ছাড়া সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার মধ্যে জরিমানা, জব্দ এবং ফৌজদারি অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনোই কানাডায় তৈরি অস্ত্রকে এই সংঘাতে ব্যবহৃত হতে দেব না।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে চারটি এনজিও — ওয়ার্ল্ড বিয়ন্ড ওয়্যার, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন, কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট এবং ইনডিপেনডেন্ট জিউিশ ভয়েসেস — ইসরায়েলি ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের তথ্য উদ্ধৃত করে দাবি করে যে, ‘মিলিটারি ওয়েপন পার্টস ও অ্যামুনিশন’ নামের কানাডীয় সামগ্রী এখনো ইসরায়েলে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের ইয়ারা শুফানি বলেন, ‘এই তথ্য থেকে স্পষ্ট, কানাডা সরকারের অস্বীকার সত্ত্বেও দেশটি ইসরায়েলকে এখনো বাস্তবিক সহায়তা দিচ্ছে।’

সংগঠনগুলো কানাডা থেকে ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর প্রমাণ হিসেবে বাণিজ্যিক শিপমেন্টের কাগজপত্রও উপস্থাপন করেছে।

মূলত গাজায় যে কোনো ধরনের সামরিক ব্যবহারযোগ্য পণ্য রপ্তানি বন্ধে দেশটি তার অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করেছে।