সর্বশেষ

» রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির বিরোদ্ধ চুরি ডাকাতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫. আগস্ট. ২০২৫ | সোমবার

 

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ৬নং রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হাজী চান মিয়া ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কয়েস উদ্দিন ও সদস্য ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও  অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়:তারা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে দলের কোন কার্যক্রমের তাদের দেখা যায় নি। কেউ বিদেশে ছিলেন, কেহ আত্মগোপনে ছিলেন।
হাজী চান মিয়া আহবায়ক ইউনিয়ন  বিএনপির আহবায়ক হওয়ার  পর থেকে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ঐ প্রবাসী ছাতক উপজেলা ক্যাম্প সেনাবাহীর কমান্ডার ইনচার্জ বরাবরে উপযুক্তের প্রমাণ সহ উপজেলার মৃত রিয়াছত উল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুর রূপ একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। বর্তমানে এটি তদন্তাধিন রয়েছে। এ অভিযোগ দেওয়ার কারনে বাদী মো আব্দুর রূপকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি আতঙ্কে দিন যাপন করছেন।
এদিকে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক কয়েস উদ্দিন সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। তিনি এসিল্যান্ডের উদ্ধারকৃত জায়গায় দোকান নির্মাণ করা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ভূমি উপসহাকরি কর্মকর্তা মহসিন আলী, অফিস সহকারি নজরুল ইসরাম নজির সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তরা ঐ অবৈধ দোকান কোঠাগুলো ভেঙ্গে দেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ অনলাইন পোর্টালে সংবাদ ছাপানো হয়েছে।
এছাড়াও সদস্য ফখরুল ইসলাম একজন চিহ্নিত গরু চুরির প্রধান সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিতি। স্থানীয়দের অভিযোগ তিনি এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করতে মাদক, জুয়ার আস্তানা গড়ে তুলেছেন। ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গরু চুরির মামলায় জগন্নাথপুর উপজেলা এসআই আব্দুস সালাম মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৩টি গরু সহ ৩টিজনকে আটক করে। পরে আটককৃতদের ভাষ্যমতে ফখরুল ইসলাম সহ একটি সংঘবদ্ধ চুরচক্র তাদের চুরি করতে পাঠায় বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
জানা যায়, ৫ আগস্ট এর পর থেকে আওয়ামী শেখ হাসিনা সরকার দেশ ত্যাগ করা পর থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন তারা। তারা রানীগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা ধনেশ রায় সহ আওয়ামীলীগের সকল ব্যবসা পেছন থেকে দেখবাল করে যাচ্ছেন তাদের সেল্টারে। ধনেশবাবু ধানের সার ও টিসিবি পণ্যে ডিলার হিসেবে আওয়ামী সরকারের আমলে নির্দিধায় ব্যবসা করে গেছেন। এখন তাদের এইসব ব্যবসা সেল্টার দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, এই আহ্বায়ক কমিটি আওয়ামী সরকারের সময় কোন অস্থিত্ব ছিলো না। তারা গত ৫ আগস্টের পর থেকে সক্রিয় হয়েছেন। তিনি জানান, এই কমিটি দলের ত্যাগী নেতাদের দলে না রেখে আওয়ামীলীগের সাথে ব্যবসা করাদের এই কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। ১৭ বছর ধরে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের কাউকে এ কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি বলে চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, বর্তমান উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক সহ অন্যান্য সদস্যরা নানা অনিয়মত ও অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্তি রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন। এখন তারা আওয়ামীলীগের ব্যবসা পেছন থেকে শেল্টার দিয়ে আসছেন। আমরা জেলা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান ।