- নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বিশ্বনাথের উদ্বোধন
- কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই মুসলিম উম্মাহর করুন পরিস্থিতি-মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান
- স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার
- বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা
- ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির
- অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
- সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
- বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
» গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান সরকারের
প্রকাশিত: ০৯. আগস্ট. ২০২৫ | শনিবার
সিলেট বিএম ডেস্ক ::: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করেছেন। প্রেস উইং বলছে, নোয়াব সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি আমরা জোর দিয়ে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয়, প্রশাসনিক বা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং মিথ্যা তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্প্রচারের মুখেও সংযম প্রদর্শন করেছে। টেলিভিশন টক শো এবং কলামে এই সরকার সম্পর্কে বারবার অসত্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তবুও, কোনো ধরনের সেন্সর আরোপ করেনি। পাল্টা কোনো অভিযোগ করেনি, কিংবা উসকানির পরেও কোনো চ্যানেলের সম্প্রচার নিবন্ধন বাতিল করেনি। বরং, আগের সরকারের দ্বারা জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া কিছু গণমাধ্যমকে পুনরায় চালু হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
প্রেস উইং বলেছে, সাংবাদিকদের জন্য আমাদের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীদের কাছে অবাধ ও সরাসরি প্রবেশাধিকার বিদ্যমান ছিল। কোনো সাংবাদিককে তাঁর প্রতিষ্ঠান বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি।
অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার সংস্কার
প্রেস উইং বলেছে, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা তথ্যভিত্তিক নয়। আগের ব্যবস্থা ছিল চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, যেখানে এমন অনেক ব্যক্তিকে ‘অ্যাক্সেস পাস’ দেওয়া হতো যাদের প্রকৃত কোনো সাংবাদিক পরিচয় ছিল না। তাদের কেউ কেউ ছিলেন রাজনীতিবিদ, লবিস্ট কিংবা সুবিধাবাদী। যারা এই বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণে অন্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতেন।
আমরা সেই ভঙ্গুর ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করে একটি অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছি। এটি প্রকৃত ও যোগ্য সাংবাদিকের সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার বজায় রাখা নিশ্চিত করে। এই সংস্কার কোনোভাবে প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য নয়।
চাকরির নিরাপত্তা
যেসব সাংবাদিক তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তা কোনোভাবেই সরকারের নির্দেশে হয়নি বলে উল্লেখ করেছে প্রেস উইং। বলেছে, এসব সিদ্ধান্ত এসেছে গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদনা সংক্রান্ত ও কৌশলগত কর্পোরেট পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে। এটি সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিবেচনার ফল। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্দেশনা বা চাপে নেওয়া হয়নি।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা: যৌথ দায়িত্ব
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাটাও অগ্রাধিকারে আছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়- গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সম্মিলিত দায়িত্ব।
চলতি বছরের শুরুতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রস্তাব ছিল ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা। যেটির মাধ্যমে সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা জোরদার হবে। এ ছাড়া, এ আইন সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ের কারণে ‘সেলফ সেন্সরশিপ’ কমাতে সহায়তা করবে। সরকার এই প্রস্তাবিত আইন কার্যকরের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আত্মসমালোচনার আহ্বান
প্রেস উইং বলছে, সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে মনে করে, দায় চাপানোর আগে নোয়াবের উচিত নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া। বিশেষ করে মজুরি শোষণ, শ্রম অধিকার অস্বীকার, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়াই প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করানোর মতো গুরুতর বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে।
ঘটনার ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে করা অভিযোগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় না; বরং গণমাধ্যমের প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়। নোয়াবের উদ্বেগগুলো বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে উপস্থাপন করা হলে তা আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতো বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
- নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বিশ্বনাথের উদ্বোধন
- কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই মুসলিম উম্মাহর করুন পরিস্থিতি-মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান
- স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- পুলিশের জালে আটক ফেঞ্চুগঞ্জের চিহ্নিত ভূমি সন্ত্রাসী
- বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বিএনপির শতাধিক নেতার
- গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল
- সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিবৃতি – ইশতিয়াক রাজু ছাত্রদলের কেউ নয়।
- সিলেট মহানগর যুবদল নেতা লায়েক আহমদ কে হত্যার হুমকি দেওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়রি
