সর্বশেষ

» রাষ্ট্র সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রকাশিত: ২৮. জুলাই. ২০২৫ | সোমবার

ডেস্ক নিউজ:
সংস্কারে রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনে বিএনপি সচেতনভাবে সামনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণের যেটা প্রয়োজন এবং যুগের সঙ্গে সঙ্গে যে পরিবর্তনগুলো আনা দরকার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন। গতকাল রবিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা করেন।

বিএনপি সংস্কার অনেক আগেই থেকে উপলব্ধি করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৬ সালে আমরা প্রথম ভিশন-২০৩০ দিয়েছি। যেখানে সংস্কারের কথা আমরাই প্রথম বিএনপির পক্ষ থেকে বলেছি, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। ২০২২ সালে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। সুতরাং রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা অত্যন্ত সচেতন। দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় আট কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা পদ্মা ব্যারেজ ও পদ্মা সেতুর সঙ্গে জড়িত। সাতবার সম্ভাব্যতা যাচাই হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আজকে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব শুধু ফরিদপুর বা রাজবাড়ীর সমস্যা নয়, এটা আজপুরো দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা।

সেমিনারে ‘ফারাক্কা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সংকট : পদ্মা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর আবশ্যিকতা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী শহিদুল ইমাম।

বাংলাদেশ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে আছে জানিয়ে ব্র্যাকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু রাজনৈতিক কাঠামোর বিষয় নয়, আমাদের আগামীর রাজনীতির পথচলার বৈশিষ্ট্য কী হবে, সেটাই এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী বছর গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই চুক্তিকে আগামী দিন আমরা কী ধরনের দরকষাকষি করে আমাদের পক্ষে রাখার চেষ্টা করব, সেটার কারিগরি এবং অন্যান্য ধরনের আলোচনা আমি শুনতে পাই না। আগামী বছর নতুন সরকার এলে যথোপযুক্ত বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষাকারী গঙ্গা চুক্তি করার মতো সক্ষমতা তৈরি করতে হবে, যেন আগামী বছর এই আলোচনায় আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ওখানে যেতে পারি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, গঙ্গা ব্যারেজটা না হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ অবস্থায় যাবে। সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট-বরগুনার দক্ষিণাংশ বাসযোগ্য নেই।

পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী প্রমুখ।