- নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বিশ্বনাথের উদ্বোধন
- কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই মুসলিম উম্মাহর করুন পরিস্থিতি-মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান
- স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার
- বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা
- ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির
- অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
- সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক
- বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
» কী কারণে সাংবাদিক তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা?মামলা দায়ের, আটক ৫
প্রকাশিত: ০৮. আগস্ট. ২০২৫ | শুক্রবার
সিলেট বিএম ডেস্ক ::: গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি মার্কেটের ভেতর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত তুহিন ‘প্রতিদিনের কাগজ’ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত ৮টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়।
যেভাবে হত্যা: ঘটনার সময় তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে তাঁকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। প্রকাশ্যে দিবালোকে লোকজনের সামনে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আতঙ্কে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তুহিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কেন এ হত্যা:
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, তুহিন যেখানে খুন হন, তার পাশেই দোতলায় তাঁর অফিস ছিল। বিকেলে তিনি দেখেন, কয়েকজন সন্ত্রাসী এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাড়া করছে। তুহিন সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন। পরে তিনি ওই চায়ের দোকানে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা এসে তাঁকে ধাওয়া করলে তুহিন প্রাণ বাঁচাতে দোকানে ঢুকে পড়েন। কিন্তু তিনজন সন্ত্রাসী দোকানের ভেতরে ঢুকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় আরও দুজন রামদা নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রধারীদের তাড়া করার ভিডিও ধারণ করার কারণেই তুহিনকে খুন করা হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার আগমুহূর্তের কিছু দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা ধারালো দেশি অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে। পেছন থেকে সেই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন আসাদুজ্জামান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দৃশ্য ভিডিও করায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থল চন্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের পশ্চিম পাশে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট। কালো রঙের জামা পরা এক নারী হেঁটে যাচ্ছেন। পেছন দিক থেকে নীল রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি ওই নারীকে পেছন দিক থেকে টেনে ধরেন। নারী জোর করে চলে যেতে চাইলে তাঁর সামনে গিয়ে গতি রোধ করেন ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নারীকে চড়থাপ্পড় মারেন। ঠিক এমন সময় পাশ থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে কয়েক যুবক ওই ব্যক্তিকে কোপানোর চেষ্টা করেন। নীল শার্ট পরা ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যান।
হত্যা মামলা, আটক ৫: সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন খান জানান, নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম ও আরেকজন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে যাচাই চলছে। তাদের সম্পৃক্ততা মিললে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেট এলাকায় এক নারীকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কয়েকজন সশস্ত্র যুবকের মারামারি হয়। এ সময় তুহিন ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ধাওয়া করে চায়ের দোকান থেকে টেনে এনে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন নারীকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়াকে আক্রমণ করা হয়। তুহিন ভিডিও ধারণ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকজন সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে, গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম বলেন, ‘আমার ভাইকে কেন হত্যা করা হলো? তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে এখন অভিভাবকহীন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি চাই।’
ঘটনার পর স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ‘ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় একাধিক দল মাঠে আছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।’
সর্বশেষ খবর
- নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বিশ্বনাথের উদ্বোধন
- কুরআন পরিত্যাগ করার কারণেই মুসলিম উম্মাহর করুন পরিস্থিতি-মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান
- স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- পুলিশের জালে আটক ফেঞ্চুগঞ্জের চিহ্নিত ভূমি সন্ত্রাসী
- বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বিএনপির শতাধিক নেতার
- গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনা করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল
- সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিবৃতি – ইশতিয়াক রাজু ছাত্রদলের কেউ নয়।
- সিলেট মহানগর যুবদল নেতা লায়েক আহমদ কে হত্যার হুমকি দেওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়রি
