সর্বশেষ

» ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে দিক নির্দেশনা :নাজমুল হাসান

প্রকাশিত: ১০. সেপ্টেম্বর. ২০২৫ | বুধবার

নাজমুল  হাসান:
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, এমসি কলেজে ছাত্রদল,সিলেট।

প্রথমে অভিনন্দন জানাচ্ছি সদ্য নির্বাচিত ডাকসু প্যানেলকে।
ঢাবির ছাত্র-ছাত্রীরা যাদের যোগ্য মনে করেছে ও যাদের কাছে নিজেদের নিরাপদ মনে করেছে তাদের উপরেই তারা আস্থা রেখেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আবিদরা পরাজিত হলো কেন? আমার দেখাতে আবিদ, হামিম,মায়েদ সময়ের অন্যতম সেরা প্যানেল ছিলো তাও তাদের পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে! তারা কি তাদের নিজদের কর্মকাণ্ডে নাকি দলের বৃহৎ কর্মকাণ্ডের জন্য পরাজয় বরণ করেছে আসুন একটু পিছন ফিরে থাকাই এবং সেটা জেনে নেই। ৫ তারিখের পর কারা কি করতেছেন কেউ নোংরা গ্রুপিং তৈরি করতেছেন, কেউ চান্দার(চাঁদা) বিনিময়ে দিচ্ছেন কমিটি।কেউ কেউ আবার লীগের লোক দিয়ে দিচ্ছেন কমিটি ত্যাগিদের পিছনে রাখতেছেন! এবং অনেকে করতেছেন চান্দাবাজি,টেম্পুবাজি, খাল-বিল, পাথর খনি দখল এছাড়াও কিছু নেতার ভাবকান যেন তাহারা এমপি মন্ত্রী হয়ে গেছেন। ছাত্রদল থেকে সিনিয়র পর্যায় পর্যন্ত নিজের গ্রুপের ছেলে হলে ওয়েলকাম নয়তো বিদায়ী সালাম। এসব নোংরামি ও গ্রুপিংয়ের জন্য হারিয়ে যায় কত জন! কত ভোটার। আশাহত হয় সাধারণ জনগণ! আমি নিজে ছোট খাটো একটা পদে না আসলে বুঝতেই পারতাম না এই দলটায় কত ধরনের চুতিয়া আছে।আপনারা ৫ তারিখের পর দখল করেছেন নিজ পেট পালার জন্য যা যা লাগে তা,আর তাহারা(জামাত-শিবির)দখল করেছে দলের কাজে লাগে যা যা তা সবি।আপনারা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/হল দখল করতে পেরেছেন?পারেন নি! আমার অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় এমসি কলেজ হোস্টেলে শিবিরের জন্য ছাত্রদলের ঠাই নাই! এটা কি সিলেটের রাজনীতিতে সিনিয়রদের ব্যার্থতা নয়?শুধু সিলেট নয় সারা বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গুলোর চিত্র একই রকম। আপনারা কর্মিদের চাপ প্রয়োগ করেন কর্মীদের কাজ কাম রাইখা নেতাদের পিছনে অলয়েজ পরে থাকুক দিন রাত। ওদের ঠিক টাক কোনো কর্ম করতে হবে না,কর্ম দেওয়াও যাবে না,কর্ম দিলে নেতার পিছনে আর আসবে না,এবং যেকোনো মুহুর্তে অকাজেও যেন ডাকলে আমার পিছনে আসে তাই তাদের কর্মের দরকার নেই! এতে কি তৈরি হয় জানেন চাঁদাবাজ ও ডাকাত!এর জন্য দায়ী আপনারা। শুধু তাই নয় এয়ারপোর্টে দুইদিন পর পর দলীয় কর্মীদের নিয়ে ডংবাজী করেন।জনগণকে হয়রানি করেন,রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি করবেন কেন উনারা কি মন্ত্রী হয়ে গেছেন? আমার দেখা মতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০+ নেতার জন্য এয়ারপোর্টে&শহরে অহেতুক শোডাউন করেছেন সেটা কি কাম্য ছিলো?অন্য দলের কি সিনিয়র পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নাই তারা কয়দিন গেছে এয়ারপোর্টে বলতে পারবেন?দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমাবেশ থাকলে কর্মীদের ডাকেন সমস্যা নেই কিন্তু অহেতুক দুইদিন পর পর সভা দিয়ে কিংবা গ্রুপিংয়ের জন্য যে আপনারা যেকোনো সময় কর্মীদের ডাকেন সভা করেন এটা কেন? আপনারা খাওয়ান-পড়ান, নাকি দৈনিক খরচ দেন? জানামতে তাও ত করেন না,দুই টাকা যাতায়াত ভাড়াও মেবি দেন না ঠিক ঠাক!তাহলে এসব কেন করবেন আপনারা?কর্মীরাই ত আপনাদের প্রতি বিরক্ত হয় এটা কি বুঝেন? দুইদিন পর পর যে আপনারা অহেতুক প্রয়োজন ছাড়াও সভা সমাবেশ করে চলাচলের রাস্তা ব্লক করেন এতে সাধারণ জনগন কেন বিরক্ত হবে না? পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই আপনারা সাধারণ জনগণ ও কর্মীদের পালস বুঝতে চেষ্টা করেন। এবং সামনে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ডাকসুর এই পরাজয় কে মেনে নিয়ে ব্যার্থতা গুলো খুঁজে বের করে দলের হয়ে কাজ করুন। বৃহৎ স্বার্থে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরাজয় /ত্যাগ মেনে নিতে হয়। আপনারা জনাব তারেক রহমানকে অনুসরণ করুন উনার কথা শুনুন বুঝার চেষ্টা করুন এই যুগে চা খেয়ে আপনাকে ভোটে জেতাবে এই স্বপ্ন দেখবেন না। আমাদের সামনে পিছনে বহু দৃশ্য ও অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে তাহা পরাজিত করার জন্য আপনারা জনগণের ভাষা বুঝুন ও তাদের পাশে যান এবং জনগণের হয়ে কাজ করুন।