সর্বশেষ

» মাদকের ব্যবহার ও কেনা বেচা বিপুল পরিমাণে বাড়ছে’নিষিদ্ধ জগতের মাদকই লাভজনক ব্যবসা

প্রকাশিত: ০১. অক্টোবর. ২০২৫ | বুধবার

আবদুল গফফার:

মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মরণব্যাধি। আমাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা বিদ্যমান তার একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল তাবা।কিছু দিন থেকে মাদকের ব্যবহার ও কেনা বেচা বিপুল পরিমাণে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতের মাদকই লাভজনক ব্যবসা।বিশেষ করে উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য কেনা বেচা হয়।এ অঞ্চলে প্রচলিত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা,গাজা,পেনসিডিল,মদ,আপিম,হেরোইন, কোকেন ইত্যাদি। এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব মাদক বেশিরভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যুবসমাজের একটি বিরাট অংশ মাদকের করালগ্রাসে নিমজ্জিত। দিন দিন যুবসমাজের মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে।মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার ক্ষতিসাধন হয়। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ও শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নৈমিত্তিক ঘটনা।মাদকের এই নীল দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে গড়ে তুলতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা। এবং মাদক চোরাচালানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদক প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন এনজিও, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম বা অন্যান্য ধর্মের বিশিষ্টজন, পিতামাতা, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে থেকে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য ও কর্মের মাধ্যমে জনগণকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। স্কুল- কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে শিক্ষাদান ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।